- ঈশ্বরের প্রত্যক্ষ অনুভূতি লাভ করার সুনির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিকী পদ্ধতির শিক্ষাকে দেশে দেশে প্রচার করা।
- নিজের নশ্বর সীমিত চেতনাকে আপন চেষ্টায় ক্রমে ঐশ্বরীয় চেতনায় উন্নীত করাই যে মানব জীবনের উদ্দেশ্য, তা শেখাতে এবং সেই উদ্দেশ্যে ঈশ্বরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে, বিশ্বময় যোগদা সৎসঙ্গের মন্দির এবং ঘরে ঘরে তথা মানব-হৃদয়ে নিজস্ব সাধনমন্দির প্রতিষ্ঠা করতে উৎসাহ প্রদান করা।
- ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শেখানো প্রাচীন যোগসাধনা ও জিশুখ্রিস্টের শেখানো আদি খ্রিস্টধর্মের মধ্যে যে পূর্ণ সামঞ্জস্য ও মৌলিক একতা রয়েছে তা প্রকাশ করা এবং এই মতবাদ যে সকল প্রকৃত ধর্মেরই সার্বজনীন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি তা দেখানো।
- ঈশ্বরের কাছে পৌঁছোনোর প্রকৃত ধর্মবিশ্বাসের যাবতীয় পথই যে অবশেষে দৈনিক বিজ্ঞানসম্মত ধারায় ঈশ্বরের ভক্তিপূর্ণ ধ্যানের এক দিব্য রাজপথে গিয়ে মেশে, তা নির্দেশিত করা।
- মানুষকে তার শারীরিক রোগ, মানসিক দ্বন্দ্ব এবং আধ্যাত্মিক অজ্ঞানতাস্বরূপ: ত্রিবিধ ক্লেশ থেকে মুক্ত করা।
- “সরল জীবনযাপনপূর্বক উন্নতচিন্তা” করতে উৎসাহ দিয়ে ঈশ্বরের সঙ্গে পরমাত্মীয়তাবোধে সকল দেশ ও জাতির মানুষের মধ্যে ঐক্যত্ব বিষয়ে সচেতন করে ভ্রাতৃত্ববোধ বিস্তার করা।
- শরীর থেকে মন এবং মনের থেকে আত্মাকে উন্নত রূপে প্রতিপাদন করা।
- অসততাকে সততার দ্বারা, বিষাদকে আনন্দের দ্বারা, নিষ্ঠুরতাকে দয়ার দ্বারা, এবং অজ্ঞতাকে জ্ঞানের দ্বারা জয় করা।
- বিজ্ঞান ও ধর্মের অন্তর্নিহিত তত্ত্বের একতার উপলব্ধি করিয়ে তাদের মধ্যে সমন্বয় ঘটানো।
- প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক সদ্ভাব পোষণ এবং একে-অপরের বিশিষ্ট সর্বোত্তম উপাদান আদান-প্রদানে উৎসাহিত করা।
- মানবজাতিকে নিজেরই বৃহত্তর সত্তাজ্ঞানে সেবা করা।